কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজধানীর ডেমরা

 ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে চেম্বারে স্থিতাবস্থা | ১৪ মিনিট আগে

সম্পূর্ণ নিউজ সময়

বাংলাদেশ

১৪ টা ৫ মিনিট, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রাজধানীর ডেমরা

রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা চালিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজটির ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা। পরে দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সময় সংবাদ

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সময় সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক




২ মিনিটে পড়ুন

এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ সদস্যরা। এরইমধ্যে কবি নজরুলসহ অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।



উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ডিএমআরসির শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দেন।


এর আগে সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয়ে সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে।


কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর ডেমরা এলাকা। 


এদিকে পুলিশ সদস্যরা জানান, ডেমরার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে যাত্রাবাড়ীতে ব্যারিকেড দেন তারা। তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙেই ডেমরা এলাকায় গিয়ে মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালান তারা।


 

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগে রোববার দফায়-দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল ঘেরাও কর্মসূচি পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে। এ সময়, হাসপাতালটির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের ভূমিকা নিস্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠে।

 

রোববার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে দলে-দলে আসতে থাকেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের চিকিৎসায় গাফিলতি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে সোমবার মৃত্যু ঘটে অভিজিতের। ওই ঘটনার বিচার চাইতে হাসপাতাল ঘেরাও ও ভাঙচুর করেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। 


মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ছবি: সময় সংবাদ

 


এক পর্যায়ে হাসপাতালের মূল ফটক ছেড়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর বিচার চেয়ে হাসপাতাল ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রূপ নেয় কলেজে হামলায়। এর আগে দুই দফা অবস্থান নিলেও ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।

 

হামলার সময় ওই দুই কলেজেই পরীক্ষা চলছিল। ভাঙচুর শুরু হলে পরীক্ষার্থীরা এলোপাতাড়ি এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে জড়ো হতে থাকেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। হামলা-ভাঙচুরের পাশাপাশি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করেন তারা। উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। ঘটনাস্থলে শুরু থেকেই পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও সংঘর্ষ ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ থাকলেও হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তারা অবগত নন বলে জানান লালবাগ জোনের পুলিশ কর্মকর্তা।

 

দুই কলেজের পাশাপাশি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ভেতরেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

Comments

Popular posts from this blog

আপনারা আমার ছেলেকে মাফ করে দিয়েন

সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা

৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী